এই যে তিন শিক্ষার্থী পিকনিকে যাওয়ার পথে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার হলেন, এর জবাব কী? বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পদাধিকারী বলেছেন, বিপদ বলে-কয়ে আসে না। এর মাধ্যমে তিনি কেবল দুর্ঘটনাকে লঘু করে দেখলেন না, দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদেরও রক্ষার চেষ্টা করলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা কিংবা প্রশাসন কি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল?
বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা শুধু পরিবার নয়; রাষ্ট্র ও সমাজের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি। দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁরা আর ফিরে আসবেন না। কিন্তু ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়াতে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কখনো বেপরোয়া যান চলাচল, কখনো ট্রাফিক ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে। কিন্তু আইইউটির তিন শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হলো বিদ্যুতায়িত হয়ে; একে মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনা বললেও অত্যুক্তি হবে না।
কেবল সড়কে নয়, দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিরাপদ করা সময়ের দাবি। দুর্ঘটনা এড়াতে উন্নত দেশগুলোতে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎলাইন স্থাপন করা হয়। আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগ কেন মাটির ওপর দিয়ে লাইন স্থাপন করে মানুষকে এভাবে ঝুঁকিতে ফেলছে? বিলম্বে হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ুক।